Daily Bangladesh Mirror

ঢাকা, বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১০, ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১

শিক্ষা

আমার বিরুদ্ধে আণীত নানা অভিযোগ মিথ্যে : মর্ডাণ স্কুলের প্রধাণ শিক্ষক

ডেস্ক রিপোর্ট:
২২ দিন আগে বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১০, ২০২৪
# ফাইল ফটো

কুমিল্লা মর্ডান হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আক্তার হোসেন বলেছেন-  আমি অত্র বিদ্যালয়ে  ২০১৯ সালের ২০ মার্চ  থেকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমি হার্টে রিং পরানোসহ দীর্ঘদিন যাবত ঊচ্চ রক্ত চাপ ও ডায়াবেটিস  এর রোগী। ০৫ই আগস্ট  সরকার পতনের পর ১১ আগষ্ট  তারিখে বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীরা ২২ দফা দাবি  পেশ করলে সভাপতি মহোদয় ও আমি সকল দাবি মেনে নেই এবং সবাই মিলে বিদ্যালয়কে

এগিয়ে নেওয়ার জন্য একমত পোষণ করা হয়।

উক্ত দিবসে আমি শারীরিকভাবে অসুস্থবোধ করায় বিষয়টি সভাপতি মহোদয়কে অবহিত করলে তিনি ছুটি মঞ্জুর করেন। নিয়ম অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক ছুটিতে থাকা অবস্থায় সহকারী প্রধান শিক্ষকগণ দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা থাকলেও তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি  বিবেচনায় অন্য কাউকে দায়িত্ব দিয়ে আসতে পারি নাই। পরবর্তীতে সিনিয়র শিক্ষক সৈয়দা রোকেয়া বেগমের নেতৃত্বে কতিপয় নন-এমপিও শিক্ষক তাদের বেতন বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদেরকে আন্দোলনে ধাবিত করে এবং এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের পদত্যাগ দাবি করে । যেহেতু বিদ্যালয়টিতে দুই  শিফটে  প্রায় ৭ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত সেহেতু বিশাল দাপ্তরিক কার্যক্রম শেষ করে প্রধান শিক্ষক হিসেবে ক্লাস নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকা সম্ভব হয় না বিধায় সহকারী শিক্ষকবৃন্দ ক্লাস নেওয়ার সুবাধে  সরাসরি শিক্ষার্থীদের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় তাদেরকে উস্কিয়ে দিয়ে আন্দোলনে নামাতে সক্ষম হয়।

১৪ আগষ্ট  থেকে বিদ্যালয়ে কোনো ক্লাস হয় না। কিছু শিক্ষক ক্ষমতার লোভে এবং কিছু নন-এমপিও শিক্ষকের নিয়োগের কোনো বৈধতা না থাকায় এসব শিক্ষক একজোট হয়ে শিক্ষার্থীদের উস্কিয়ে দিয়ে আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীদের জীবন ধ্বংস ও বিদ্যালয়টিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। নন-এমপিও শিক্ষকবৃন্দ কখনো বেতন বৃদ্ধির জন্য কমিটির নিকট আবেদন করে নাই। আমি অত্র বিদ্যালয়ে যোগদান করার পর থেকে প্রতি বছর কুমিল্লা বোর্ডে এসএসসির ফলাফলে প্রথম স্থান এবং এবছর জাতীয় পর্যায়ে ষষ্ঠ স্থান অর্জন করেছে। বিদ্যালয়টি ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ২০১৮ সাল পর্যন্ত সংরক্ষিত তহবিল ছিল ১ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকা এবং আমি যোগদান করার পর বিগত ৫ বছরে বিদ্যালয়ের তহবিল হয়েছে সাড়ে ১২ কোটি টাকার উপরে। ২০১৮ সালে শিক্ষকবৃন্দের বিদ্যালয়ের প্রদত্ত যে বেতন ছিলো ২০২৪ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। বিদ্যালয়ে শৃঙ্খলাসহ সার্বিক উন্নতি হয়েছে।  কুমিল্লার নতুন জেলা প্রশাসক  যোগদান করার পর  উনার সাথে দেখা করে বিদ্যালয় সম্বন্ধে বিস্তারিত জানাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ক্ষমতালোভী শিক্ষকবৃন্দ শিক্ষার্থীদেরকে উস্কিয়ে দিয়ে থাকে যেন  জেলা প্রশাসকের সাথে‌ দেখা করতে না পারি বা স্কুলে যেতে না পারি। এমনকি আমার ভাড়া বাসায় গিয়ে হুমকি ধমকি দিয়ে থাকে। আমি বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারলাম ১৭-০৯-২৪ মঙ্গলবার ১০ টায় ম্যানেজিং কমিটির সভা ডাকা হয়। কমিটির সভায় আমি যেন আসতে না পারি আবারো শিক্ষার্থীদেরকে উস্কিয়ে দিয়ে আপনার অফিসে জড়ো করতে চাচ্ছে এবং জোর করে আমাকে পদত্যাগ করানোর জন্য শিক্ষার্থীদের বলেছে। আমি কোন অনিয়ম করিনি।

২২ দিন আগে বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১০, ২০২৪

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন