কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার দক্ষিণ ভবানীপুর ইউনিয়নের উত্তর শালুকিয়া গ্রামের অধিবাসী আলী আশ্রাফের বিরুদ্ধে জ্বীন তাড়ানোর নামে প্রতারণাসহ নানান অভিযোগ ওঠেছে।
তাঁর বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক, কুমিল্লা পুলিশ সুপার, জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বরুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বরুড়া
থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং জাতীয় ও কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় রেজাউল করিম নামের এক ব্যক্তি।অভিযোগে বলা হয়, আলী আশ্রাফ একজন ভন্ড কবিরাজ এবং ভুয়া জ্বীন ফকির। নিজেকে মাওলানা পরিচয়ে প্রতারক আলী আশ্রাফ দীর্ঘ দিন ধরে ঝাড়-ফুকের মাধ্যমে জ্বীন তাড়ানোর নামে শত শত নারীর শ্লীলতাহানী করে আসছেন। বিভিন্ন দালালের মাধ্যমে তার কাছে এনে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত অসুস্থ্য লোকজনকে জ্বীনের ভয় দেখিয়ে ঝাড়-ফুক-তাবিজ-কবজের ফাঁদে ফেলে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। জ্বীনের সহায়তায় কুফরী কালামের মাধ্যমে প্রতিপক্ষের ক্ষয়-ক্ষতি করার নামে মিথ্যা আশ্বাসে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকেও অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন তিনি। ভন্ড আলী আশ্রাফ ইসলামী লেভাস লাগিয়ে এলাকায় একজন প্রতারক হিসেবে পরিচিত, এসব কারনে তার সন্তানরা এসবে তাকে বাধা দেয়। বাধা না মানায় তার তিন পুত্র তাকে ফেলে প্রবাসে চলে যায়। প্রতারক আলী আশ্রাফের কারনে উত্তর শালুকিয়া গ্রাম জ্বীন ফকিরের গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এ কারনে তার গ্রামের লোকজনও তাকে এসবে নিষেধ করে আসছে। স্থানীয় আনোয়ার হোসেন ও বিল্লাল হোসেনের মাধ্যমে বরুড়া থানার পুলিশ এবং কুমিল্লার ডিবি পুলিশকে মাসোহারা দিয়ে ভন্ড আলী আশ্রাফ এই অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। প্রতারক জ্বীন ফকির আলী আশ্রাফকে দ্রুত গ্রেপ্তার পূর্বক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানানো হয়।
ভন্ড প্রতারক আলী আশ্রাফের বিষয়ে অনুসন্ধানকালে স্থানীয় আবুল কালাম, ইউসুফ ও খোকন জানিয়েছেন, নানান সমস্যা নিয়ে আলী আশ্রাফের কাছে প্রতিদিন এক থেকে দেড়শ লোক আসেন। অদৃশ্য জ্বীনের নাম করে প্রত্যেকের কাছ থেকে চুক্তিতে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় সে। তার প্রতারণা যেন থামছেই না।
নিজের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে জ্বীন কবিরাজ আলী আশ্রাফ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বিগত ৩০ বছর ধরে তিনি কবিরাজী করে আসছেন। দৈনিক ১০/১৫ জন রোগী দেখেন। যে যা টাকা দেন তাই তিনি নিয়ে থাকেন। তিনি জ্বীন তাড়িয়ে থাকেন, কারো কাছে পাঠান না।
১১ দিন আগে বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১০, ২০২৪