Daily Bangladesh Mirror

ঢাকা, বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১০, ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১

মুক্তমত ও ফিচার

কুরবানির পশুর বর্জ্যের সুস্থ ব্যবস্থাপনা চাই

আহমেদ হানিফ:
১৫ দিন আগে বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১০, ২০২৪
# ফাইল ফটো

বছরের পরিক্রমায় আবারো মুসলিম মানস ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত করতে আসছে পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদুল আযহার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা তার হাবীব ইব্রাহীম (আঃ)এর ত্যাগের বিষয়টি সারা জাহানের মানুষের মধ্যে জানান দিয়ে যাচ্ছেন,আল্লাহ তার বন্ধুর ত্যাগের মহিমা পৃথিবীর মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছেন পবিত্র কুরবানির মাধ্যমে। 

ফলে পৃথিবীর সমস্ত মুসলিম উম্মাহ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিজেদের প্রিয়

পশুর কৃরবানী দিয়ে থাকেন।

পশু জবাই করার মাধ্যমে প্রবাহিত রক্তের মাধ্যমে মানুষ তাদের ত্যাগের পরীক্ষা দিয়ে থাকেন।কারণ আল্লাহ তায়ালার দরবারে পশুর রক্ত ও মাংস পৌঁছায় না, পৌঁছায় বান্দার তাকওয়া।

তাই কুরবানীর সময়টাতে ঘটা করেই সারা পৃথিবীতে পশু জবাই করার মাধ্যমে বান্দারা নিজেদের ত্যাগ ও তাকওয়ার পরিচয় তুলে ধরেন মহান রবের দরবারে।
বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম প্রধান দেশের মতো বাংলাদেশে পালিত হয় এই মহান ধর্মীয় উৎসবটি,বর্তমান সময়ে সারা দেশের পশুর হাট গুলোতে জমে উঠেছে পশু কেনাবেচায়।মানুষের তার সাধ্যের মধ্যে পছন্দের পশু ক্রয় করে নিজেদের ত্যাগের পরিচয় দিতে প্রস্তুত।
তবে পরিতাপের বিষয় হলো আমরা অসচেতন ভাবেই যেখানে সেখানে কুরবানির পশুর বর্জ্য ফেলে রেখে দেই।যার কারণে কুরবানী পরবর্তীতে আমাদের চারপাশ ময়লা হয়ে পড়ে।

পশুর নাড়িভুড়ির গন্ধ পরিবেশ দূষিত করে তোলে।
মানুষের স্বাভাবিক জনজীবনে নেমে আসে দূর্গতি।স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন না মানুষ,শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত মানুষের পক্ষে সেখানে অবস্থান করা সম্ভবপর হয়ে উঠেনা।
নাড়িভুড়ি ও গোবর পানিতে মিশে গিয়ে আরো খারাপ অবস্থায় ফেলে দেয়।
বর্তমানের সময়টায় প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে এমতাবস্থায় আমাদের উদাসীনতা পরিবেশ দূষণের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
আমরা ত্যাগের ও সওয়াবের উদ্দেশ্যে কৃত কাজের মাধ্যমে যেন অন্য মানুষেরা কষ্ট না পায় সেদিকে নজর দিতে হবে।
তাই আমরা আমাদের জবাইকৃত পশুর বর্জ্যগুলোর সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিবেশকে দূষণের হাত থেকে রক্তা করতে পারবো।
আমাদের সচেতনার মাধ্যমে আমরা চাইলে আমাদের পরিবেশকে সুন্দর করে তুলতে পারবো।
কুরবানী পরিবর্তী সময়টাতে যাতে সাধারণ মানুষ কোনো প্রকার কষ্ট না পায় সেদিকে নজর রাখতে হবে।

আমরা যেভাবে আমাদের পশুর বর্জ্যগুলোর ব্যবস্থাপনা করতে পারি তা হলো-

১.গর্ত করে তার মধ্যে নাড়িভুড়ির ময়লা গুলো ফেলতে হবে
২.রক্ত প্রবাহিত হওয়া স্থানের মাটি গুলোতে জমা রক্ত কোদাল দিয়ে তুলে গর্তে ফেলে মাটি চাপা দিতে হবে
৩.পশু জবাই করার স্থানে জীবাণুনাশক ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে
৪.জবাই কাজে ব্যবহৃত কলাপাতা,চট ও চাটাই-এর সুস্থ ব্যবস্থাপনা করতে হবে
৫.পশুর মাথার অংশ ও হাড়গুলো সংগ্রহ করে একটা নিদিষ্ট স্থানে পুঁতে ফেলতে হবে।

আমরা উপরোক্ত নিয়মের মাধ্যমে পরিবেশকে দূষণের হাত থেকে রক্তা করতে পারবো,আমরা যদি আমাদের চারপাশ পশুর বর্জ্য থেকে রক্তা করতে পারি তাহলে আমরা আমাদের পরিবেশ দূষিত হওয়া থেকে রক্তা করতে পারবো।জনজীবনের কোনো প্রকার ক্ষতি করতে না চাইলে আমাদের উচিত হবে পশুর বর্জ্যের সুস্থ ব্যবস্থাপনা করা।

১৫ দিন আগে বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১০, ২০২৪

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন