বলিউড অভিনেতা সালমান খানের ক্যারিয়ারের একসময়ে একের পর এক ছবি বক্স অফিসে ব্যর্থ হচ্ছিল। তখন তিনি এক বিশাল আর্থিক সংকটে পড়েছিলেন। কিন্তু কিভাবে তিনি সেই সংকট থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন, তা নিয়ে আজও বলিউডে বিস্তর আলোচনা হয়।
আজ তিনি বলিউডের ‘ভাইজান’। তার ছবি যখন দীপাবলি বা ঈদে মুক্তি পায়, তখন ভক্তরা প্রেক্ষাগৃহে ভিড় জমায় এবং তার ছবি দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকে। কিন্তু
একটা সময় তার ক্যারিয়ার প্রায় শেষ হতে চলেছিল। ২০০৪ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে তার বেশ কয়েকটি ছবি বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়। এর মধ্যে ছিল ‘গর্ব: প্রাইড অ্যান্ড অনার’, ‘মুঝসে শাদি করোগি’, ‘ফির মিলেঙ্গে’, ‘দিল নে জিসে আপনা কঁহা’ এবং ‘লাকি: টাইম ফর লাভ’। সালমানের ছবিগুলো তেমন বাণিজ্যিক সাফল্য পায়নি। এমনকি অভিনেত্রী কারিনা কাপুরের সঙ্গে ‘কিঁউ কি’ এবং প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে ‘সালামে ইশক’ ছবিগুলোও ব্যর্থ হয়।এই সময়কে সালমান খানের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কঠিন সময় হিসেবে ধরা হয়। তার কোটি কোটি টাকার লোকসান হচ্ছিল এবং তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। এরপর তার হাতে আসে এমন একটি ছবি, যা তার ক্যারিয়ারকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করে।
২০০৭ সালে সালমান খান ‘পার্টনার’ ছবিতে অভিনয় করেন। এ ছবিতে তার সঙ্গে ছিলেন গোবিন্দ, লারা দত্ত এবং ক্যাটরিনা কাইফ। ছবিতে সালমান প্রেমের পরামর্শদাতার চরিত্রে অভিনয় করেন এবং এটি বক্স অফিসে ব্যাপক সাড়া ফেলে। ছবিটি শুধু যে বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়েছিল তা-ই নয়, সমালোচকরাও ছবিটির প্রশংসা করেছিলেন।
‘পার্টনার’ ছবির নির্মাণ ব্যয় ছিল ২৮ কোটি টাকা, কিন্তু এটি বক্স অফিসে ১০০.৯১ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল। বলা হয়, এই ছবিটি সালমানের ক্যারিয়ারে সঞ্জীবনীর মতো কাজ করেছিল। ছবির গানগুলোও সেসময় ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল।
১৫ দিন আগে বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১০, ২০২৪