সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার মামলার তদন্ত থেকে র্যাবকে সরিয়ে আদালত নতুন নির্দেশনা দিয়েছেন। আদালত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন, যার মাধ্যমে এই হত্যা মামলার তদন্ত পরিচালিত হবে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এই টাস্কফোর্সকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর)
বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এই সংক্রান্ত একটি রিট শুনানি শেষে এ আদেশ দেন আদালত।আদালত বলেন, "এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার থেকে র্যাবকে সরানো হলো। এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় টাস্কফোর্স গঠন করে বিভিন্ন সংস্থার অভিজ্ঞ ও যোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে তদন্ত চালাতে পারবে।"
এদিকে, রোববার প্রথমবারের মতো সাগর-রুনি হত্যা মামলায় আইনজীবী শিশির মনিরকে নিয়োগ করেন মামলার বাদী ও রুনির ভাই নওশের আলী রোমান। আইনজীবী শিশির মনির বলেন, "ক্রিমিনাল মামলার বিচারের দায়িত্ব রাষ্ট্রের, তবে আইনে আছে যে কোনো ভুক্তভোগী বা অভিযোগকারী ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৩ ধারা অনুযায়ী স্বাধীন আইনজীবী নিয়োগ করতে পারেন।"
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় খুন হন। সে সময় তাদের পাঁচ বছর বয়সী ছেলে মাহির সারোয়ার মেঘ বাসাতেই ছিল। হত্যাকাণ্ডের পর রুনির ভাই নওশের আলী রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর শেরেবাংলা নগর থানাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিন দিন পর মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাদের ব্যর্থতার পর মামলাটি র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল।
এই আলোচিত হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ এখন পর্যন্ত ১১৩ বার পেছানো হয়েছে।
মামলায় মোট আটজন আসামি রয়েছেন, যাদের মধ্যে রুনির বন্ধু তানভীর রহমান ও বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী অন্যতম। তাদের একাধিকবার রিমান্ডে নেওয়া হলেও কেউই হত্যার দায় স্বীকার করেননি। আটজন আসামির মধ্যে দুজন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন, বাকিরা এখনো কারাগারে রয়েছেন।
১০ দিন আগে বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১০, ২০২৪